DEHLIJ

মুহম্মদ নূরুল হুদা

কয়েদি কবিতা

 মুহম্মদ নূরুল হুদা




ত্রি-বৃত্তে কয়েদী আজো, জানি না কসুর

কত দূর, মুক্তিপুর আর কত দূর!

পৌরুষ কি আছে সখা?-

আছে যদি, স্বৈরিণীকে ঘরে তুলে নাও

আর তো সহে না জ্বালা, মরমে সহে না।

আট-আট-দুই বলো, কিংবা আট-ছয়

আট-চার বারো - শুদ্ধ ছন্দ নয়-

শুনি শুধু আপ্তবাক্য, সুবায়ু বহে না।


নির্বোধ-নিরীহ

কবিদের এই গৃহ-

পালিত গণিত থেকে দাও মুক্তি দাও

শর্মিন্দা শরীর থেকে লেবাস খসাও।

মিত্র-অমিত্রের খোঁজে আবারো কি যাব আমি সুদূর বিদেশে?

আর কি নেবে না জন্ম শ্রীমধুসূদন পলিসিক্ত দেশে?


 উইড়া যায় রে হংসপঙ্খী


বর্ষিয়সী পিতামহীর কণ্ঠজাত এই উত্তাল শব্দডানা

সূর্যাস্তের সামান্য আগে

পার হয়ে যায় সিদরাতুল মুনতাহা

পিতামহী তসবীহদানায় মেপে যায় জীবনের দৈর্ঘ্য।


তখন বৈদেশ থিক্যা ফিইরা আসে দেশের মানুষ,

রোয়াং ছাইড়া নাগর আসে এই বাঙ্গাল মুলুকে,

তখন লাঙের লাগি ঘরের খুঁটি ধরি থিয়াই থাকে নতুন ঘরণী।


পুরুষ মানুষ এদিক ওদিক ফুচকি মারে,

আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে দুইগালে দুই চাঁদহাসি জাগায়

সদ্য নেকাপড়া মেহেদিরমণী;

ফুচকি ফিরিয়ে দিতে দিতে সে-ও ভাবে

খসমের চোখ পড়লে পাঁজরের হাড় ঠিক থাকবে না একটাও;

তখন পশ্চিমদরিয়ার নহর লালে লাল,

সূর্য ভেদ করে জলজাল,

তখন হংসপঙ্খী মনডাল ছাইড়া বাসা বাঁধে জলফাঁদে,

একটিও পালক পড়ে না তার,

পলকে সে আকাশমাটি ছাইড়া নীল দরিয়ার।


তবে তো এই দুনিয়া জলকায়া,

উইড়া যায় রে হংসপঙ্খী, পইড়া রয়রে মায়া......


No comments

FACEBOOK COMMENT