নাহিদা আশরাফী
এ কবিতা অপাঠ্য বলে গণ্য করা হোক
নাহিদা আশরাফী
সন্ধ্যায় মালতীরা নিরাপদ নয়
তবু সন্ধ্যামালতী নামে ফুল কেন ফোটে?
ট্রাক-
রাষ্ট্রের গায়ে
কারা যেন গায়েবি হরফে লিখে দিয়েছে-
'একশো হাত দূরে থাকুন।'
সাইনবোর্ড –
ইদানিং চোখ বেশ পরিষ্কার দেখে।
রাস্তায় নামলেই পুজিবাদীর উদোম গায়ে সাটা স্টিকার-
'বেবি অন বোর্ড, হ্যান্ডেল উইদ কেয়ার'
অথচ তাবৎ আমজনতার গলায়
ধারালো ব্লেডের মত ঝুলতে দেখি - 'ইউজ মি'।
রেইনট্রি অন যশোর রোড
যশোর রোডের গাছেগুলো
লুকিয়ে পড়ে রাতের সিন্দুকে
অন্ধকারের জ্যাকেট খুলে
বেরিয়ে আসে করাতকলের হাত
হাওয়ায় ভাসে প্রতিধ্বনির
সহস্র সংঘাত।
পাতার পায়ে শিকল
পরাধীনতার শ্যাওলা বাকল জুড়ে
হিংস্র কীটের আদিম কালো দাত
ফুলের ভ্রুণ খাচ্ছে কুরে কুরে
গাছ জানে না রাষ্ট্রের ছলাকলা
লুকিয়ে মঙ্গল কোথায় জাগে শনি
গাছ চেনে না সিঁদুর, উলুধ্বনি
লাজুক চোখে কাবিন, কবুল বলা
শরীর ভরা দাগ নিয়ে পথ চলি
রাতের স্লেটে গাছেদের বোবা ভাষা
রাজনীতি আর রাস্তার কানাগলি
বৃক্ষ বাকল দ্যাখে অন্ধ কীর্তিনাশা...
ঝিমধরা এক শহর থেকে
ক্লান্তি মেখে দাঁড়িয়ে থাকে
এই শহরের দালানগুলো
কে বলো তার খবর রাখে
ফাঁটছে যেন শিমুলতুলো
শহরবাসী স্নান করে না
রোদের মিহিন আলো মেখে
মানুষগুলো গান করে না
ব্যর্থতা আর বিদায় ঢেকে
ঝিমধরা এক ভালোবাসায়
ভুল চাদরে আদর পোষে
শিৎকারে নেই তীব্র সুখ আর
চিৎকারও নেই জনরোষে
সোডিয়ামের আলোর মত
বিবর্ণ সব বর্ণমালায়
সাজায় জীবন বিজ্ঞাপনে
খিদে গড়ায় শূণ্য থালায়
দিন রেখে সব রাত্রি গোনে
অন্ধকারের আয়না দ্যাখে
এইখানে সব কান্না গেলে
ভাতের পাশে ভাবনা রেখে
ফিরবো কবে নিজের ঘরে
জীবন কাটে অভিঘাতে
একটা শাড়ি, আরেকটা ফ্রক
তৃষ্ণা নিয়ে অপেক্ষাতে ...
Post a Comment