DEHLIJ

সাকিল মাসুদ

শূন্য

সাকিল মাসুদ





দৌড়াতে দৌড়াতে পাহাড় ছাড়িয়ে পৌঁছে যাই হিমালয়ে
বঙ্গোপোসার পার হয়ে যাই
আটলান্টিক মহাসাগর পার হয়ে যাই
তবুও শূন্যকে অতিক্রম করতে পারি না
তুমি কি নদী? না নদী তো নও!
তুমি কি ফুল? না ফুলও তো নও!
তুমি শূন্য, হ্যাঁ তুমি শূন্য
তুমি কখনও অংক আবার তুমিই কখনও সংখ্যা
তুমি ধনাত্মক-তুমি ঋণাত্মক আবার কোনটাই নও
তুমি কখনও এক, তুমি কখনও একাধিক
কখনওবা বিলিন
তুমি রহস্যময় মহাবিশ্ব, তুমি অন্তহীন।


ভদ্রলোকের পাড়া



আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে লোকেরা সব বেশ্যালয়ে যায়
আবার বারাঙ্গনাদের নাম শুনলে ছয় হাত ছি ছেটায়।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে লোকেরা সব সত্যি করে মিথ্যে কথা বলে
পরের কাঁধ বলদ করে হালুয়া সেজে চলে।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে বুদ্ধিজীবী বিক্রি করেন তেল
জনগণের মাথায় চড়ে নেতায় ভাঙে বেল।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে সবাই শুধু নীতিকথা-প্রীতিকথা বলে
তলে তলে সবাই রাবণ, সঙ সেজে চলে।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে কৃতদাশেরা কৃপার আশায় প্রভুর কাছে যায়
প্রভুরা সব কৃতদাশের রক্ত চুষে খায়।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে মানুষ নামে মানুষেরা হিংসা করে চাষ
বিশুদ্ধতার নামে পরচর্চার সাথে করে সহবাস।
আমি যে শহরে থাকি সেটা ভদ্রলোকের পাড়া
সেই শহরে মন্ত্রীরা সব চোরের মহারাজা
বাঁশের আগায় রাখেন তারা জনগণের মাজা।


ত্রিরূপী পাখি



এমন একটা পাখি দিলা
এক জনমে বিধি
সেই পাখিটা দুমুখে খায়
পাষানি সেই হৃদি
সে পাখিটা দেয় রে উড়াল
থাকলে ভাঙা নীড়ে
সুখ খোঁজে সে ভাঙা ঘরের
দালান-কোঠা ভিড়ে
সে পাখিটা এক অঙ্গে
তিনটে রাখে রূপ
দুরূপে তার আদর ভরা
একে বিশাল কূপ
সে কূপটাতে হারায়ে যায়
ভবের পথি যারা
পড়লে কূপে মৈশা-মানুষ
হয় রে দিশেহারা
এই পাখিটার সাথে তুমি
লিখলে কেন জোড়
ভবের পথি হারায় গতি
খুলতে গিয়ে দোর।

No comments

FACEBOOK COMMENT