বিমল গুহ
আমার কবিতাগুলি
বিমল গুহ
আমার কবিতা আজ ঘোরলাগা লাটিমের মতো ঘূর্ণমান
মানুষের পক্ষে দাড়ায়
বিদ্যুৎস্ষুলিঙ্গ হয়ে দুলে ওঠে মধ্যগগনে।
বিস্ময়ে বলি- পথ কি চিনেছে সত্যপথ
ঘনঘোর অন্ধকার জেনেছে কি বিদ্যুতের গতিপ্রকৃতি?
মানবধ্বংসী বোমা ক্রুর মিশাইল-
হুংকারে ভেঙে পড়ে স্কুল, হাসপাতাল
ব্যস্ত লোকালয়ে_ গাজা স্ট্রিপে
এই কি ছিলো দ্বিপাক্ষিক কলহের উত্তরাধূুনিক সমাধান?
মানবজীবনস্বোত ঘন-নীল সাগরের ক্ষণজন্ম ঢেউয়ের আখ্যান;
মানুষ কি কান পেতে শুনেছে একাকী কোনোদিন
উপকূলে আছড়ে-পড়া ঢেউয়ের ক্রন্দন?
সাগরের ঢেউ- জানি- সংঘবদ্ধ স্বোত অভিন্ন অহিংস আকার
মানুষ কী করে পারে ক্রুরহাতে মানুষের প্রাণ তুলে নিতে?
অলুক্ষণে বেলা যায়, চারদিকে ঘোর অমানিশা
একুশ শতক কেন প্রলয়ের শঙ্খনাদ বাজায় আকাশে
পৃথিবী কি পরমাণু আয়ুধের সাক্ষী হতে প্রস্তুত এখনঃ
হে প্রকৃতি মহাকাল- আমাকে কোথায় এনে
দাড় করিয়েছো এইবেলা?
কী পরীক্ষা নিতে চাও আজঃ
একবিংশ শতাব্দীর কোল-ছুঁয়ে
মানব-সভ্যতা কি মুছে যাবে চিরতরে এই মাটি থেকে?
আমার কবিতাগুলি শান্তির বার্তা নিয়ে
বরফবৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে মরুপ্রান্তরে
মিশাইল বুলেট বোমা উপেক্ষা করে
শরাহত সভ্যতার পার্শ্বে দাঁড়ায়;
আমার কবিতাগুলি বৃষ্টির ফোয়ারা হয়ে
আমার কবিতাগুলি বৃষ্টির ফোয়ারা হয়ে
রক্তাক্ত ভূমিতে নামে নির্ভয়ে- যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়ায়।
আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছো ঝড়োমেঘ
কী পরীক্ষা নিতে চাও আজঃ
-নাও ।
আকাশে রোদের রঙে হেসে ওঠে দীপ্ত মহাকাল
লাটিম
আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছো ঝড়োমেঘ
কী পরীক্ষা নিতে চাও আজঃ
-নাও ।
আকাশে রোদের রঙে হেসে ওঠে দীপ্ত মহাকাল
ওই দূরে উল্কাবৃষ্টির মতো ধাবমান স্ফুলিঙ্গ-
তারকামণ্ডলী
আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছো এইবেলা?
আমার চারপাশ দেখো বরফাচ্ছাদিত প্রান্তর
আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছো এইবেলা?
আমার চারপাশ দেখো বরফাচ্ছাদিত প্রান্তর
ঠাণ্ডার প্রকোপ
আহা, হুমড়ি খেয়ে পড়েছে প্রত্যুষে সবখানে!
এখন দুপুর
বরফের কুচি-আঁকা মধ্যদুপুর
রোদের বর্ণালী যেন লাফিয়ে পড়ছে রাস্তায়
শশব্যস্ত মধ্যদুপুর মাথা কুটে
ঝিমধরা লাটিমের মতো একা চেনা আঙ্গিনায়।
আমার কবিতার খাতাগুলি রেখে দিয়েছি প্রান্তরের ধুলোর ভিতর
ধু ধু বালিয়াড়ির পৃষ্ঠা খুলে লাল কাঁকড়ার দল লুকিয়ে থাকে যেভাবে
আহা, হুমড়ি খেয়ে পড়েছে প্রত্যুষে সবখানে!
এখন দুপুর
বরফের কুচি-আঁকা মধ্যদুপুর
রোদের বর্ণালী যেন লাফিয়ে পড়ছে রাস্তায়
শশব্যস্ত মধ্যদুপুর মাথা কুটে
ঝিমধরা লাটিমের মতো একা চেনা আঙ্গিনায়।
প্রকৃত কবিতা
আমার কবিতার খাতাগুলি রেখে দিয়েছি প্রান্তরের ধুলোর ভিতর
ধু ধু বালিয়াড়ির পৃষ্ঠা খুলে লাল কাঁকড়ার দল লুকিয়ে থাকে যেভাবে
কবিতাগুলি মাথা গুঁজে বিশ্রামরত
শিরদাঁড়া সোজা করে আবার দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন।
শিরদাঁড়া সোজা করে আবার দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন।
কিছু কবিতা বড়বেশি জেদী
পাণ্ডুলিপির পাতা থেকে দ্রুত বেরিয়ে পড়তে চায়,
আর কিছু পাজি কবিতা স্বীকৃতির মালা গলায় ঝুলিয়ে মর্দষাড়ের মতন
পাণ্ডুলিপির পাতা থেকে দ্রুত বেরিয়ে পড়তে চায়,
আর কিছু পাজি কবিতা স্বীকৃতির মালা গলায় ঝুলিয়ে মর্দষাড়ের মতন
সদর রাস্তায় যেতে আগ্রহী
শিং উঁচু করে খড়ের গাদায় গুতো দেয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে চায় এইবেলা
শিং উঁচু করে খড়ের গাদায় গুতো দেয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে চায় এইবেলা
কিন্তু- প্রকৃত কবিতাগুলি
পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠাজুড়ে স্থায়ী চিহ্ন এঁকে যেতে প্রস্তুত এখন ।
পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠাজুড়ে স্থায়ী চিহ্ন এঁকে যেতে প্রস্তুত এখন ।
Post a Comment