হাসিদা মুন
তোমার অভাব ভাব করেছে
হাসিদা মুন
গহীন তোমার মনের বনে আটকে থাকি
একটু দূরে নিঝুম চরে বানভাসিতে ভাসতে দেখি
সব যে বুঝেও - চুপটি করে নিঃশব্দের চিত্র আঁকি
ষোলআনা যায়কি বলা - না বলার এই ফাঁকিজুকি ...
পৌনঃপুনিক জোয়ার ভাঁটার প্রতি বাঁকে
বিশুদ্ধ মন সখ্যতাটা মানতে শেখে
স্বাক্ষরিত সনদ প্রমাণ বাইরে থাকে
বাইরে থেকেই ভিতর দেয়াল ভাঙতে দেখে
পরোয়ানায় পুনরাবৃত্তি ফেলছে বুঝি - ফের বিপাকে
ফের বিপাকে ...
তোমার অভাব ভাব করেছে -মনের সাথে
মন জানালো সেই কথাটাই এই আমাকে
এই আমাকে ....
ক্ষয় লয় ভয় - মৃত্যুহীন আপোষে
দয়িত আমার
দ্রুত ছুটে চলা প্রত্যুষ আর সূর্যরশ্মি ডোবার প্রাক্কালে
তোমাকেই দিবো শত সম্ভাষণ
ফুলের ভাষায় চুপকথা বলবোনা- ফুলের সম্মেলনে
শুস্ক ধরণী তেষ্টায় শুঁয়োপোকা হয়ে কষ্টের বুকে হাঁটে
শব্দ শিখেছি নতুন ভোরে - ভ্রমরের কাছে
যে কিনা ভালোলাগার ভায়োলিনে বাঁজায় মূর্ছনা -সূর্যের উত্তাপে
কাঁপে তবুও আত্মা কাঁপে প্রাপ্তির দাপটে
কারণ সেতো বুক -অনুরাগে উন্মুখ ...
উদ্দাম গতিতে ছোটে মন মীড় ছন্দহীন
দৈনন্দিন ঢেউ তোলা সুপারসনিক অন্তরে
কখনো সেও ক্রমাগত নিস্প্রভ হয় উড়োউড়ি করা বাতাসে
তবুও বন্ধুত্বের বলয়ে আসে প্রলয় ক্ষয় লয় মানে না মরণ
মরণ যদিও আসে তবুও প্রণয়ের বসবাসে
দীর্ঘশ্বাস- দীর্ঘতর হয় প্রতিনিয়ত দীর্ঘ বানাবে বলেই
আরও আসে অনুস্মরণ ভালবাসার জ্যোতির্ময় বৃত্তে
এক কমনীয় গোলাপ আজও ফোটে
মনের বাগানে বিছানো পাতায় বসন্ত ফিরে আসে ধূসর ঘাসে
হায় ! তা কি ফেরানো যায় ...
একাকী কোথায় ছেড়ে যাবো তারে?
দুর্মূল্যের ডকে কিছু স্বপ্ন এখনো উড়োউড়ি করে নিভৃতে
আবেগের আবেশ কম্পাঙ্কে নীল স্রোত ছড়ায়
বহুভুক দাবানলে কমনীয়তা হার মানে
বেগুনী রশ্মির উৎপাতে উচ্ছ্বনে যায় পেলবতা
যদিও হৃদয়ের নিবেদন নীরবে চিরকাল জেগে থাকে
চলো বন্ধুত্বের দ্বিধাহীন চিত্তে
শেষ গোলাপটিকেও পুস্পিত করি ভালোবেসে
ক্ষয় - লয়- ভয় - মৃত্যুহীন আপোষে ......
Post a Comment