DEHLIJ

আরিফুল হক কুমার

বিকেলের অন্য নাম

আরিফুল হক কুমার




ভাগ্যরেখা তোমাকে দিলাম
করতলে প্রণয়ের স্বরলিপি লিখবো বলে
আশ্চর্য! জাদুর বাটালি
শুধুই খোদায় করছে বিষাদ
সংলাপের কুণ্ডলিতে
গাঁথা পড়েছে কুঞ্জযাপন।

হাতে হাতে হাওয়াই মিঠাই!
কে খায়! কে রাখে!
কেইবা স্থির হয়ে বসতে পারে
এমন অভিজ্ঞান সুঁচের শয্যায়।


একবার চলে যায় অন্যপথে
না ঠিক পথ নয় জলের বিতানে।
ভাসতে ভাসতে ডুবে যাবার
অনলান্ত অনুভব জাগিয়ে রাখেন
অথচ শীতলতম ঘুমের মধ্যে
ঘোরলাগা সঙ্গমস্পৃহা
নারীকে জাগাতে চেয়েছিল-তবু
প্রণয়ের চিত্রলিপি চোখে নিয়ে
ব্যর্থ বিকেলের কাছেই সমর্পণ।
বিকেল কি কবিতার অন্য নাম।


এমন কী হবে যখন তুমি শুধু
আমাকেই কাছে ডেকে
ফিরিয়ে দেবে বাণিজ্য তরী।
স্বরাজ্যের বদলে আমাকে চাইবে।


প্রত্ন আঁধারে আলো হোক




আকাশভরা এত আলো বয়ে এনেছে চাঁদ
বুদ্ধের অবিচল করুণার মতো জ্যোৎস্না
ঝরে পড়ছে চরাচরে - তবু হন্তারক ছুরি
মানুষের বিশ্বাসের শিকড়ে ঢুকে পড়ছে!
শিশুর তীব্র আর্তনাদের মধেই বিশ্বসভা
দারুণ ব্যস্ত হয়ে প্রাকসভা সভায় বসেছে
যুদ্ধ কোন লক্ষ্যে যাবে, কোন বোমা
এবং বোমারু বিমানকে লাইসেন্স দেয়া যাবে!
কিংবা কোন পরাশক্তি ইজারা পাবে
পৃথিবীর কোন কোন গোলাপ বাগানের।

এমন কী প্রণয়ের পরিভাষা নিয়েও দুয়েকটি
সভা ডেকে বসতে পারে ধর্ম এবং রাজনীতির জিরাফ।


প্রত্ন আঁধারে যত আলো পড়ুক- স্নিগ্ধ বাতাস
আস্তিনের আড়ালে বিষের থলি নিয়ে
বসে আছে যারা তাদের চোখের নিকটে
মশালটা বাড়িয়ে ধরা যাক, আগুনে ছাই হোক বিষ!
চিতার ভস্ম হয়তো বীজের শিকড়ে সাহস যোগাবে!
আসন্ন ঋতুর উঠানে আসে যদি ফুলেল হাসি
শিশুর সদ্য ফোটা চোখ হেসে হেসে বলবে ভালোবাসি।




No comments

FACEBOOK COMMENT