দিলারা হাফিজ
ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্যে এলিজি
দিলারা হাফিজ
বৃক্ষেরা বাকল ফুঁড়ে
অস্থির বেরিয়ে পড়ছে দলে দলে,
তারা সব যুদ্ধে যাবে,
ফিলিস্তিনি শিশুদের বাঁচাতে,
সময় ছেঁদন করছে রাতের
কাঠঠোকরা পাখি
কখন ভোর হবে-যুদ্ধে যাবে-
নদী ও জ্যোৎস্নার-তরুবীথি- সৈন্য-সামন্ত যত
বন্য ঘোড়া-সুন্দর বনের হিংস্র-চোখের বাঘ
যুদ্ধে যাবে তারাও
চিত্রল হরিণেরা সভা করছে গোলপাতার ছায়ায়
ভাবছে, তাদেরও কি যাওয়া একান্ত জরুরি?
শিশুদের কোমল বুকে এই রক্ত-বৃষ্টির নৃশংসতা
এই শক্তিশেল নিক্ষেপের গর্জন সত্যি অসহ্য প্রাণ।
যুদ্ধের বল্কল পরে পুরো মানব প্রজাতি
খোঁজে ফেরে তার যুদ্ধংদেহি মনের দুর্বার শেকড়
কোথায় পালালো শেকড়?
লাভে, লোভে ও মাৎসর্যে?
কিংবা ন্যায় নীতির ব্রেকাপে এই উল্লম্ফন?
এই গ্রোবাল ভিলেজে কিছুই পারম্পর্যহীন নয়
ভেদ-বুদ্ধির এই প্রযুক্তি সংসারে-
না সমাজ, না রাষ্ট্র, না ধর্ম, না বর্ম
তাহলে কে কে যাবে এই ন্যায় যুদ্ধে-
ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার না হোয়াটস্অ্যাপ
কে হবে আগামীর সমর নেতা?
তুমি কী তা জানো?
যখন তুমিও দ্বিত্ত্ব ধ্বনি উচ্চারণে স্যাক্সোফোনে সিম্ফনি তোল,
সঙ্গীতময় কণ্ঠে জিজ্ঞেস করো
কোথায় তুমি?
তোমার স্বরে কাঁপতে থাকে উদ্বেগের আল্পনা
আমার বুকের পাঁজর সিল্কের মতো ভেঙে যায়,
নতুন পানির আলাভোলা জোয়ার নামে
কবিতার রহস্যময় মরমী দুপুরে
তুমি জানো কী তা?
দরাজ কণ্ঠে গায় শাহ্ আব্দুল করিম
আনন্দ,প্রার্থনা আর বেদনা একাকার হলে
বর্ণবাদে জেগে ওঠে জ্যাজের মূর্ছনা
সুধীন দত্তের অর্কেস্ট্রার সুরে ও স্বরে
অনাদি কালের চাওয়া পাওয়া এসে জড়ো হলে
তখন তোমার ভুবন বিলাসী মায়ায় ওড়ে
সোনালি মেঘের সঙ্গে কিছুটা শূন্যতাও!
তুমি কী তা জানো?
Post a Comment