DEHLIJ

নিধু ঋষি।

বৃষ্টিজলে

নিধু ঋষি





তুমি আসতেই সাথে করে নিয়ে এলে বৃষ্টি
অভিমান শত অভিযোগ কাটিয়ে কদমগুচ্ছ
কতসময় পর বুকের গভীরে ছুঁয়ে গেলো
একরাশ হিমেল ঠান্ডার উষ্ণতায় বৃষ্টির মুগ্ধতা

প্রকৃতির সবুজ শাড়ি আর নীল চুড়ি হাতে
গায়ে মেখে এলে বেলীফুলের সৌরভিত ঘ্রাণ
আগে তো কখনো এমন করে সাঁজোনি গো
নয়ন যে আটকে গেছে বৃষ্টিভেঁজা বদনে তোমার!

রক্তঝরা ফাল্গুন


হিজল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়াও রক্তিম বর্ণে রঞ্জিত ছিলো
সেই রক্তঝরা ২১ ফেব্রুয়ারির অবদাহনে বাঙলার
ভাষাকে জোর করে উর্দু লিখা হবে বলে রাজপথে
রক্তের দামে আল্পনা একেঁছিলো মায়ের ভাষার রক্ষার্থে

এই ফাল্গুন তখকার সময়টুকুতে ফাল্গুন ছিলোনা
রক্তের আগুনে ফাল্গুন ঝরেছিলো ৫২ এর ভাষাতে
মা ডাকার শব্দ ওরা মুখ থেকে কেঁড়ে নিবে বলে
সীমাহীন আন্দোলনে রফিক, শফিক, জব্বার আরো

নাম না জানা ছাত্র জনতার ত্যাগের বিনিময়ে
মাতৃভূমির অমর ভাষা বাংলাকে পেয়েছি সগৌরবে
৫২এর ভাষা সংগ্রামে বিজয়ের পথ ধরে বীরবাঙালী
শিখে গিয়েছিলো বাংলার ভূখণ্ড রক্ষার প্রতিশ্রুতি।

নিস্তদ্ধ রক্তাক্ত শিশুর দেহ


রক্তের মিছিলে ক্ষমতার রসায়নে হিংস্রতার
দবালনে জ্বলছে ফিলিস্তিনি গাজার বসতভিটা
ভাসমান ইসরালের বর্বরতায় নিক্ষিপ্ত গোলাবারুদে!
কি নৃশংস জালিম আঘাতে রক্তাক্ত মানবসন্তানরা

দানব ইসরালের রাক্ষুসে থাবার যন্ত্রণায় অকালে
ঝরে পড়েছে বাগানের কোমল ফুটফুটে ফুলগুলো
আহত দৃশ্যএর মাঝে চোখ রাখতে পারছিনা

মাসুম বাচ্ছাদের জ্বলসিত চেহেরায় হারিয়ে গেছে মানবতা! 
কিসের জন্য এই রাজত্বকাল? কোন স্বর্গ
লাভের জন্য এমন র্নিদয় মানব হত্যা?

শেষ রাতের নিদ্রায় যে অন্তিমপাড়ে যেতে হবে কে জনতো? 
তাহলে হয়তো নিরাপদে আশ্রয় খঁজতো আগামীর স্বপ্নবুনা পাখির বাসাগুলো

ভোরের নামাজে সামিল হবার মসজিদ পর্যন্ত
বিধ্বংস করেছে মানবতা বিরোধী ইসরাইল বাহিনী!
যেখানে শান্তির মোনাজাত হয় প্রার্থনার কাতারে
সেখানেও ছাড় দাওনি জালিম ইসরাইল

অবুঝ শিশুর রক্তাক্ত দেহ বিছানায় ছটফট করছে
বাঁচার জন্য! মা-বাবা নিথর শরীর পড়ে আছে
প্রাণহীন, হাত নেই, পা নেই কি নিদারুণ ইসরাইলের
নারকীয় হত্যাকান্ড!

শান্তির দূত নিয়ে নিরব যারা সময়ের নিষ্ঠুরতায়
তোমাদের সময় আসছে এরচেয়েও ভয়াবহ প্রস্তুত থেকো 
নতুন কোন ধ্বংসের ইতিহাস নির্মাণের জন্য!


বাবা


কোন অর্থে তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো
জানা নেই, এতটা যত্নের ছায়াতে সন্তানকে জড়িয়ে
রাখা একমাত্র তোমাকে সৃষ্টিকৃতা বাবা হিসাবে না

পাঠালে জানতাম না! মাঝে, মাঝে অবাক হয় তোমার
মনোবল দেখে যা তোমার সন্তানের জন্যও কঠিন হয়
প্রিয় বাবা, সেই ছ্রোট থেকে দেখেছি তুমি একটি

সংসার নামক বড় গাড়ির পাইলট হয়ে মাকে সাথে
নিয়ে কত বিশাল কিলোমিটার ছুটেছো আমাদের
ভালো রাখার জন্য, আমাদের সুস্থ রাখার জন্য দিন

রাত খেটে যাচ্ছো রোদ বৃষ্টি মাথার উপর দিয়ে
নিজের সুখ তুমি এবং মা কখনোই উপলদ্ধি করার
সুযোগ পাওনি কখনো সংসারের জন্য ব্যাংকের

সাপ্তাহিক কৃস্তি নিয়ে পাগলের মতো পরিশ্রম করে
উপার্জনের পথ খুঁজছো তবুও নীতির পথ থেকে
পিছপা হওনি প্রিয় বাবা আমার তুমি মহান, মহান
তোমার আদর্শ।


ফিরে এলাম বৃষ্টিতে।


হে বৃষ্টি তুমি ক্ষণিকের জন্য হলেও আটকে
দিয়েছিলে আমার দূরত্বে যাবার পথটুকু
অবরুদ্ধ করেছিলে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টির
আগমনে জানালার কাছ থেকে কত ভেবেছিলাম

মনের দর্পণে প্রকৃতি বার্তা পেয়েছিলে বিষন্নতার
অবকাশে কি ছিলো লুকিয়ে? তুমি যা বুঝেও
পারোনি প্রকৃতির মতো সযত্নে আগলে রাখতে!

মিথ্যা সুখের হাতছানিতে প্রস্তুত হতে ব্যাস্ত তুমি
ঠিক তখন তোমার সম্মুখ থেকে বেরিয়ে এলাম
মিথ্যা মায়াতে বুঝেছি কতখানি দায়িত্বহীনতা ছিলো!

অবারিত বিরামহীন ছুটেছিলাম কালের সাক্ষী হয়ে
ঘর থেকে শহর, শহর থেকে নগরে টানাফোঁড়নের
দিন যাপনে! আমি জেনেছি সত্যের আলোয় ছিলাম

কিন্তু না ভুল! সেটা যে নিকষকালো মেঘ ছিলো
তা কত সময়ের হাত ধরে পেরিয়ে গিয়েছে বুঝতে!
সম্পর্কের দোলনায় লালস থাকেনা! থাকে শুধু মমতা


No comments

FACEBOOK COMMENT