আ ন ন্দ পা ল
স্মৃতির বারান্দা
আ ন ন্দ পা ল
পড়ন্ত বিকেল যতই আড়াল করুক গোধূলিমাখা হাত,
পুরানো পাঞ্জাবির বোতাম খুললে টের পাই-
স্মৃতির বারান্দায় চাঁদ এখনো দাঁড়ায় প্রতিরাত;
স্বপ্নঘেরা দু’চোখ কুয়াশার চাদর সরাতে চায়।
স্পন্দন না ফুরাতে তাকে কী আলাদা করা যায়?
সে যে লেগে থাকে বহমান ঢেউয়ে,
ঝরেপড়া ধূসরপাতায়,ক্ষয়ে যাওয়া ধুলোপথে।
অতীত হওয়া সময় রথে।
পুরানো পাঞ্জাবির বোতাম খুললে টের পাই-
স্মৃতির বারান্দায় চাঁদ এখনো দাঁড়িয়ে আছে প্রতিক্ষায়।
লৈঙ্গিক বৈষম্যতার নয়;পৃথিবী হোক মানুষের।
গাছেরা কী নারী-পুরুষ হয়?
গাছেরাও কী জেন্ডার বিভাজনে মাতামাতি করে?
গাছের কী পিতৃতান্ত্রিক চেতনা থাকে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই,তবুও-
সৃষ্টির শুরু থেকে নারী- পুরুষে স্বভাবের দূরত্ব বাড়ছে,
ডায়নোসরের মতো বিলুপ্ত প্রায় অভিন্ন মানুষ পরিচয়।
মা-মাটির কাছেই উত্তর পাই অবশেষে---
গাছের কোন লিঙ্গান্তর নেই।কারণ গাছ-
স্বার্থের উর্ধ্বে,ভোগের উর্ধ্বে নিতে পারে নিজেকে।
গাছ অকাতরে নিজেকে অর্পন করতে পারে প্রকৃতির মাঝে।
প্রকৃতি,গাছের বিভাজন খোঁজে না কখনও;
প্রকৃতি চায়- গাছ মাটির বুকে ফুল ফল মূল দিয়ে তাকে
আগলে রাখুক,অবারিত সবুজে সাজিয়ে দিক পৃথিবী।
মাটির পাতা সংসারে লিঙ্গান্তের দরকার নেই।
মাটির সংসার নারী-পুরুষ বিভাজনকে নয়;
সকল গাছকেই আকড়ে বাঁচতে,ভাসতে,হাসতে ভালোবাসে।
মাটি আশা করে মানুষও একদিন প্রকৃতির মতো
মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসবে,
শ্রদ্ধা করবে,কাছে রাখবে পৃথিবীতে পরমযত্নে।
অধরা আকাশ
যদি দূর থেকে দেখো, ঐ আকাশকে মনে হয় বাঁকা।
আরো কাছাকাছি গেলে,মনে হবে কিছুটা সরল-সোজা।
পাশাপাশি গেলেও সে- কখনও কি হাতে দেবে ধরা?
অনুভবে খুঁজে পাবে;মূলত- বাস্তবে আকাশ অধরা।
কাছে যাওয়া মানে হলো, প্রেম-মমতায় আটকা পড়া;
কাছে আসা মানে হলো,মুগ্ধতার দেহে হাবুডুবু খাওয়া।
কাছে যাওয়া মানে হলো,একক অস্তিত্বের বিনাশ,
কাছে আসা মানে হলো,ভলোবাসার নতুন উপন্যাস।
প্রেম-ভালোবাসা সেতো পদ্মপাতায় টলমলে জল;
লাভক্ষতির ধারাপাতে-কষলে অঙ্ক হয় না সফল।
শিশির মাখা পাতার মতো ভিজে আছি আমি
শীতসকালের রোদের মতোই তাইতো তুমি দামী।
হিম চাদরে ঢাকলে আকাশ শীতের দাপট নামে
তোমার দেখা পেলেই তবে বুকের কাঁপন থামে।
তুমি আমার পৌষসন্ধ্যায় হাত-লুকানো মোজা
শাসন চোখে জড়িয়ে নিলেই হই যে আমি সোজা।
আড়াল হলে ঠোঁটযুগলে নামে ভীষণ খরা
তুমি মানেই মেরিল লিপজেল,-ঠোঁটের নড়াচড়া।
তুমি আমার হিমবাতাসে কান-প্যাঁচানো মাফলার
চঞ্চলামুখ গুঁজলে ঘাড়ে -ছোঁয়া পাই উষ্ণতার।
তুমি আমার শীত-ঋতুতে পাতিল-ভরা আগুন
হাত-বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলেই আসবে ফিরে ফাগুন।
নিঝুম রাতে ঘুমবালিশে পাই না যখন তোমায়,
প্রেমিক আমি বিচ্ছিন্ন হই শিশির ঢাকা বোমায়।
আরো কাছাকাছি গেলে,মনে হবে কিছুটা সরল-সোজা।
পাশাপাশি গেলেও সে- কখনও কি হাতে দেবে ধরা?
অনুভবে খুঁজে পাবে;মূলত- বাস্তবে আকাশ অধরা।
কাছে যাওয়া মানে হলো, প্রেম-মমতায় আটকা পড়া;
কাছে আসা মানে হলো,মুগ্ধতার দেহে হাবুডুবু খাওয়া।
কাছে যাওয়া মানে হলো,একক অস্তিত্বের বিনাশ,
কাছে আসা মানে হলো,ভলোবাসার নতুন উপন্যাস।
প্রেম-ভালোবাসা সেতো পদ্মপাতায় টলমলে জল;
লাভক্ষতির ধারাপাতে-কষলে অঙ্ক হয় না সফল।
তুমি মানেই মেরিল লিপজেল
শিশির মাখা পাতার মতো ভিজে আছি আমি
শীতসকালের রোদের মতোই তাইতো তুমি দামী।
হিম চাদরে ঢাকলে আকাশ শীতের দাপট নামে
তোমার দেখা পেলেই তবে বুকের কাঁপন থামে।
তুমি আমার পৌষসন্ধ্যায় হাত-লুকানো মোজা
শাসন চোখে জড়িয়ে নিলেই হই যে আমি সোজা।
আড়াল হলে ঠোঁটযুগলে নামে ভীষণ খরা
তুমি মানেই মেরিল লিপজেল,-ঠোঁটের নড়াচড়া।
তুমি আমার হিমবাতাসে কান-প্যাঁচানো মাফলার
চঞ্চলামুখ গুঁজলে ঘাড়ে -ছোঁয়া পাই উষ্ণতার।
তুমি আমার শীত-ঋতুতে পাতিল-ভরা আগুন
হাত-বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলেই আসবে ফিরে ফাগুন।
নিঝুম রাতে ঘুমবালিশে পাই না যখন তোমায়,
প্রেমিক আমি বিচ্ছিন্ন হই শিশির ঢাকা বোমায়।
Post a Comment