ঋজু রেজওয়ান
নৈর্ব্যক্তিক আর্ট
ঋজু রেজওয়ান
হাসছো! সেই-ই ভালো— মাত্রাহীন স্পর্শ— তার
স্পর্শক দুরত্বে...
তে তালা'র ভেতরের অন্ধকার;
আকার— আঁকার অন্ত দৃশ্যহীন কল্পনাপালক।
অদ্ভূত-বিস্মিত পার্টিকেল!
কবর-দুর্গন্ধ-আত্মা— আতরের গন্ধমাখা ভোর
কল্পনার বাস্তব বিভ্রান্তি—
তিতির্ষু তিমিরে [অ] প্রতিনিধিত্ব [হীন] বোধের
ট্যাকিং/ফাকিং বহুরূপী ক্যানভাস;
ভাসছে/টাসছে মন, মনের বিপদগামী ইমেজ।
একটি লুকানো টিপ, অদৃশ্য তুলির স্মৃতিপাটে
বিড়বিড় করছে ক্ষমতা।
শিল্পের বিরুদ্ধে শিল্প'র-ই সতর্ক প্রভুত্বে বর্ণময়
প্রেম পার্বণের গ্রাফিতো আঁকছি! যেন আমি—
জাঁকজমকপূর্ণ ভাস্কর্য— ঠোঁটে বিষের পেয়ালা।
প্রতিবিশ্বে প্রতিলাবণ্য
মাতাল তালপাতার পুরাণ— যতটা কালো
তত কালো নয়!
বিটুমিন ড্রাম! ট্রাম— বাস্তব ঘটনা
হার মানায় কল্পনা।
[জীবন আনন্দ]
তুমিও কি ছিলে?
শূন্য আয়তনে/একক বিন্দুর
নর্দমার ঘূর্ণিপাকে!
ওখান থেকেও বাইরে বেরিয়ে আসা যায়,
যায় না শুধুই— একাকীত্বের সরাই রোড।
আমি—আমি ছাড়া তুমি, তুমিময় বিরাজ
রাজস্থানের পঙক্তির ঠিক বিপরীত ঘ্রাণ।
—তবুও—
তুমি— প্রতিবিশ্বে এক প্রতিলাবণ্য অসুখ।
চিরন্তন বন্দিশালা নয়। বেরিয়ে পড়লেই..
বিপুল আলোর ঝলকানি!
অতঃপর— নিশ্চিহ্ন! নিশ্চিহ্ন মোলাকাত!
কিছু চিহ্ন থাকে দাসত্বের ব্লাকহোলস্নাণে।
বৃষ্টি! কেন যে বিষ টি
দিনমিতি (যত) যতিবৃষ্টি! সৃষ্টি, তবুও বিষ টি—
এই দেহলিজ স্টোর! তরতর; টরটর
গণক বেরিয়ে/বুড়ি’ এ মাফিক।
চিক/চুক মনের আড়ত! ’দার’— খোলো দ্বার;
ধার করার হাইঞ্জাবেলা। কালা একখান কুপি।
উচাটন— টনমিতি;
ততমিতি— শীৎকার। কার অরহর ফুল, ভুল
রবাব দোতার? তারহীন বিদ্যুৎচমক!মকমক
এই অনাসৃষ্টি— বৃষ্টি! টি/টা/খানা/খানি’র—নি
গানাগানি, ঘানাঘানি, কানাকানি— নাচানাচি।
চি— করছি, বিষটির
ভেরন বৈয়াম। বৃষ+টি= .....। কাওমে দ্রাবিড়!
ক্লিভেজ অদূরে... হাউরকা দিয়া আসছে বৃষ্টি।
কবিতার Trekking
সম-তিনটি দুরত্বে... তিনতিনটে কৌণিক—
ll অবস্থান ll
A : তুমি B : আমি
C : তাহারা
প্রতি সর্বনাম মাণ— প্রত্যেকে রেখেছে ধরে,
যার তিনটি বাহু-ই— “কবি”।
ত্রিকোণের প্রত্যেকটি স্মৃতি-বিস্মৃতির বিন্দু
চাঁদোয়ারান্তর খুলে বসে আছে রোদপৃষ্ঠায়।
~ তবুও এ : তুমি ~
মতো ফুটে উঠলে-ই উপমা ছিড়ছ ফেলে...
আরোহ-অবরোহের কিউবিস্ট রাত্রি; আর
ঘুঘু, নরমশরীরে রেখে আসে প্রাচীন প্রশ্রয়।
= {(তম) : [তমতম] তরও} =
প্রতিবন্ধী মিছিলের অনু-পরমানুর আবর্তে
একটা চাকার পাখি (অর); ছিদ্রহীন [বিন্দ]
দরদালানে নিঃশব্দ ইনফিনিটির স্পর্শচিহ্ন।
নদীর নিকটবর্তী নৌম্যাপ আউলে রাখি—
চক্রাকার যৌথ সাঁকো।
কার্যত/ফলত—
দাদন না মেটানোর Stainless Pockdreams.
তমসো মা জ্যোতির্গময়
ব্যাটা ’অনা’ যত সক্ত— সূর্য! রইয়া রইয়া অপূর্ণই;
চিকনাচিকনরোদ্দুরের ফালিফালি আলপনাপনা!
নাগরিক বিপ্রতীপে...
নির্ঝর আলোর পরম্পরাপড়া।
ভুলে যাওয়া স্থবির স্টেশন; তার—
হায়ারোগ্লিফিকহাসি, সবরিনরিন, খিলখিলহাসি!
অন্ধকারের উরুত—
অ্যালগরিদমে মেপে নিই, ছাদহীন ঘরের বিলাস;
সুদীর্ঘ দিনের ঠোঁট—
গালাপী স্তনের পাশে কড়াইয়ের তলার কুচ কুচে
কালো লম্বা ফ্রগটায়—
বিড়ালের করুণ ক্রন্দন।
আরও কত কী বিন্যস্ত! পুঞ্জমেঘের রহস্য! আর,
জ্যামিতিক দেহে/দহে
দিন বাই দিন মরিতেছে মলিন সন্ধ্যার নক্ষত্ররা।
অন্ধকারের দ্রাঘিমা—
প্রকট আলোকে বিছাইছে... ’অনা’দির মায়াজাল।
Post a Comment